রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইইউয়ের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর। পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
গিলমোর বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক অনেক ভালো। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতে আমরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছি। তারা সরকারিপর্যায়ে কথা বলবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিনিধি দলের ইতোমধ্যেই ঘুরে গেছে; তারা শিগগিরই রিপোর্ট দেবে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ আছে।
কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম এসব বিষয় নিয়েই মানবাধিকার কমিশন কাজ করছে। এসব ঘটনা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বিদেশিদের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট করে। নির্বাচন নিয়ে তেমন কিছু আলোচনা হয়নি। তবে নির্বাচনে এমন কিছু করা যাবে না যাতে আমাদের দেশের ইমেজ খারাপ হয়।
বিচারবহির্ভূত হত্যা -গুম-খুন এসব কোনোভাবেই কাম্য নয়, এসব কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। নির্বাহী বিভাগকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
এ বৈঠকে গিলমোরের সঙ্গে ছিলেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ( ইইএএস) রাজনৈতিক উপদেষ্টা ভিক্টর ভিলিক। বৈঠকে অংশ অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস হোয়াইটলিসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
ছয়দিনের সফরে সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় এসেছেন ইমন গিলমোর। বাংলাদেশে ইমোন গিলমোরের এটি দ্বিতীয় সফর। এর আগে, ২০১৯ সালের জুনে তিনি প্রথম বাংলাদেশে আসেন। ওই সফর শেষে গিলমোর বাংলাদেশে শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা বলেছিলেন।
গিলমোর ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার সময়ে আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেইলআউট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছিল।